যোগ্য প্রার্থী পওয়া না গেলে প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপরই দায় চাপিয়ে থাকে!
আমি এখানে বরাবরই দ্বীমত পোষন করি। দায় অবশ্যই আছে,তবে দুই পক্ষেরই আছে,মানে কর্ম প্রতিষ্ঠানগুলোরও দায় রয়েছে।
এখানে পুশ-পুল ফ্যাক্টর দুটোর ভূমিকা রয়েছে।তাছাড়া শ্রমবাজারের সাপ্লাই-ডিমান্ডের ইম্ব্যালেন্সের সুযোগটা প্রতিষ্ঠানগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুযোগ হিসেবে নেয়।তার ১০ হাজার টাকায় সুপারম্যান নিতে চায়।
আর শিক্ষার সাধারনীকরণে তারাই মূলত দায়ী, তারাই শিক্ষার স্পেশালাইজেশনে নিরুৎসাহিত করে।এইচআর এ পাশ করা ছেলেকে এইচআর এ না নিয়ে ইতিহাসের একজনকে নিয়োগ দেয়,মার্কেটিং পাশ করা ছেলেকে সেলস এ নিয়োগ বা দিয়ে সাহিত্যে পাশ করা ছেলেকে ওইখানে নিয়োগ দেয়।
নিচের নিয়োগ বিজ্ঞাপনের ছবিটি একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানের।আজকে প্রথম আলোয় এসেছে।খেয়াল করে দেখুন তারা একটা চাকুরির বিজ্ঞাপন পর্যন্ত ঠিক ভাবে দিতে শেখে নি।একবার যোগ্যতা লিখেছে স্নাতক আবার দিয়েছে অন্যান্য যোগ্যতা এইচএসসি।
শুধু লিখতে পারা বাদ দিলাম,অফিস সহায়ক হিসেবে কাকে নিবে সেটাও নির্ধারনে তারা একরকম আহম্মকি দেখিয়েছে।অফিস সহায়ক কাজটা সম্পর্কে আপনারা প্রায় সবায় অবগত, এখানে বিজ্ঞানের ছাত্র বা স্নাতকের কতটা প্রয়োজন তআ তাদের শিখতে হবে।
আর এই পদে স্নাতক পাশ করা প্রার্থী চাওয়া মানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করা,শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ফিক্স করে এই অপমানজনক আখ্যার সূরাহা দিতে হবে।