একটা ইসলামিক পোস্ট পড়ে মনটা এলোমেলো হয়ে গেছে হঠাৎ।যার সারমর্ম অনেকটা এইরকমঃ
সুফিয়ান আস সাওরী (রহঃ) মাগরিবের নামাযের সময় إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ বলার পর আর আগাতে পারছিলেন না। “আমরা কেবল তোমার ইবাদত করি, আর তোমার সাহায্য প্রার্থনা করি”-।
তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি যদি কারো সামনে হক্ক কথা বলতে না পারতেন, তবে তার যন্ত্রণায় রক্ত-প্রসাব করতেন।আর এখন হক কথা বলা তো দূরের কথা,আমরা দ্বীনের খাতিরে একটা খাবারের আইটেমও ছাড়তে পারি না।
সূরা ফাতিহা তো আমরাও পড়ি,প্রতি বেলায় নামাজে অন্তত। এইরকম কত বছর ধরে কিন্ত এমন অনুভব তো হয় না।
আসলে পাপের সাথে আর দুনিয়ার সাথে আমাদের উঠাবসা এত নিবিড় হয়েছে যে আমাদের অন্তর মরে গেছে।নামাজ আমাদের কাছে এক্সসারসাইজের মতো শারিরীক ব্যায়াম হয়ে গেছে,মনকে তা নাড়া দেয় না!
কোরআনের সাথে আমাদের দূরত্ব এখন যোজন যোজনের।
“যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে।”[৫৯;২১]
.
যে কুর’আনের ভয়ে পাহাড় বিদীর্ণ হয়ে যেত, সেই একই কুর’আন আমাদের হৃদয়কে একটুও নাড়া দেয় না। একটিবারের জন্যও থমকে যাই না।
আমাদের পাপের সীমা,আমাদের পাপের পরিমাণ কতটুকু গেলে এমন অবস্থা হয়,নিজেকে নাফরমান লাগছে! ভাবছি এখন মরলেও নাফরমান হিসাবেই যাবো তাতে কোন সন্দেহ নাই!!