আপনারা চিন্তা করেন তরমুজ নিয়া তাই এর বাইরে সিন্ডিকেট দেখেন না!আসলে গত দুই দশকে পুরো দেশই একটা সিন্ডিকেট সিস্টেমে চলছে।
লক্ষ্য করে দেখবেন, একটা ব্যবসায়ী শ্রেণী তারা সংসদে প্রবেশ করেছে,টিভি-পত্রিকার ব্যবসা খুলেছে,নিজেদের ব্যাংক খুলেছে,বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে! আসলে এরা নিজেরই একটা দুনিয়া বানিয়ে নিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাচাঁ পয়সা ইনকাম করবে,নিজ ব্যাংক থেকে লোন নিবে,নিজ ব্যবসা প্রচার করবে নিজ মিডিয়ায় বা কুকর্ম হলে পালিত কুকুরদের লেলিয়ে দিবে!
বিখ্যাত কন্সাল্টেন্সি ফার্ম ‘বোস্টন কন্সাল্টিং গ্রুপ’ একটা মডেল আছে যেটা Growth Share Matrix হিসেবেও পরিচিত। মডেলটি ব্যবসায় শিক্ষায় বহুল প্রচলিত। BCG Matrix-টি এমবিএতে Syed Reza স্যার কন্সাল্টেন্সি ম্যানেজমেন্টে পড়িয়েছিলেন আর Mahbubul Kabir স্যার বিবিএতে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়িয়েছিলেন আর মহিউদ্দিন স্যার মার্কেটিং ম্যানেজমেন্টে পড়িয়েছিলেন।
এই মডেলটি আসলে প্রোডাক্ট পোর্টফলিও স্ট্রেটেজিকে ব্যাখ্যা করে।আমার মনে হয় উল্লেখিত শ্রেণীটি এই মডেলটি খুব ভালোভাবে আত্মস্থঃ করেছে।আর এরাই মুখস্থ বিদ্যা না করে, বাস্তবে কাজে লাগিয়েছে জ্ঞান!!
উল্লেখ্য রাজনীতি তাদের কাছে STAR (★) যার প্রবৃদ্ধি দ্রুত ও বেশি আর তাদের মার্কেট শেয়ারই বেশি।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
যেখানে রাজনীতি তাদের Cash Cow( ) যেটা সবচেয়ে লাভজনক ও টাকা জেনারেট করে উদ্যাক্তার জন্য।
ব্যাংক হচ্ছে তাদের Dogs ()যা মার্কেট শেয়ার বিবেচনায় প্রতিদ্বন্দীদের থেকে কম ও Growth স্লো থাকে।কিন্তু এটা ভাঙ্গিয়ে সে অনেক টাকা ঋনের নামে সরিয়ে নেয়।
টিভি বা পত্রিকা হচ্ছে তাদের Question Marks ( ) যা দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে নিজেদের লো শোয়ার রাখে আর এটাই সবচেয়ে বেশি টাকা খায় (মানে এখানে টাকা কিছু ঢালা হয়)! বাংলাদেশের এই সিন্ডিকেট এখানে টাকা আসলে ঢালে গরু,কুত্তা আর স্টারদের কাজেই।ওই তিন জায়গায় কোন কুকর্ম হলে তা ঢাকার জন্যই এই পোর্টফোলিও ব্যবহার করে।এখানে টাকা ঢাললেও চুরি ঢাকতে আর নিজেদের গ্লোরিফাই করতেই (?) এই পোর্টফুলিও ব্যবহার করে!
মজার ব্যাপার প্রত্যেকটা বিজনেস পোর্টফুলিওর টাকা কিন্তু পাবলিক থেকেই আসে।এরা কৈ এর তেল দিয়েই কৈ ভাজে!
বাংলাদেশের এই মুখোশধারীরাই ততদিন মাথায় থাকবে যতদিন এই দেশের মানুষ মাথামোটা গান্ডু অশিক্ষিত থাকবে!
1 Comment
Your comment is awaiting moderation.
Benifical
সঠিক বলেছেন স্যার।